সাকিব ছাড়া কি হতে পারে বাংলাদেশ দলের !!!

দক্ষিণ আফ্রিকার কঠিন কন্ডিশনে পেস বোলারদের প্রাধান্য দিয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। ১৫ সদস্যের দলে ফেরানো হয়েছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, রুবেল হোসেন শুভাশিষ রায় চৌধুরীকে। দলের চমক একটা নেই সাকিব আল হাসান। তার অভাব পূরণ করতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে নির্বাচকদের। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য স্বেচ্ছায় বিশ্রামে গিয়েছেন অলরাউন্ডার। আপাতত ঘাটতিই বড় করে দেখা দিয়েছে টিম বাংলাদেশে
দলে জেনুইন অলরাউন্ডার বলতে রয়েছেন একজনই। তিনি মেহেদী হাসান মিরাজ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে খেলা নাসির হোসেনকে আবার বাদ দেয়া হয়েছে। দলে রয়েছেন যথারীতি মুমিনুল হক। শেষ টেস্টেও যাকে নিয়ে অব্যাহত ছিল নাটক। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে খেলানো হয় নম্বরে। প্রথমে সিরিজে বাদ দিয়ে এপরপর সাজানো হয় এক নাটক। সেটা মোসাদ্দেক হোসেনকে অসুস্থ দেখিয়ে চূড়ান্ত করা স্কোয়াড থেকে ছেঁটে ফেলা হয় তাকে। সেখানে নেয়া হয় মুমিনুলকে। ক্রিকেটারকে দ্বিতীয় টেস্টে খেলানো হলেও নাটক ছিল অব্যাহত। 

বলার আর অপেক্ষা রাখে না, নিউজিল্যান্ডের চেয়েও ভয়াবহ একটা সফরের সম্মুখীন টিম বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে বিশেষ করে টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশ অনেকটাইঅচেনা পর্যন্ত দুইবার সফর করেছে সেখানে বাংলাদেশ। ২০০২ ২০০৮ ছিল সে সফর। সেখানে অনুষ্ঠিত চারটি টেস্টেই হেরেছে বাংলাদেশ খুবই বাজেভাবে ইনিংস ব্যবধানে। ২০০৮ দুটি ম্যাচেই হেরেছিল বাংলাদেশ ইনিংস ব্যবধানে। যার প্রথমটিতে ইনিংস ১২৯ পরেরটিতে ইনিংস ৪৮ রানে। 

ফলে এবারো তেমনি কঠিনতম একটি সিরিজ সামনে রেখেই যাচ্ছে মুশফিকের বাংলাদেশ। ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে বড্ড প্রয়োজন ছিল পেস অলরাউন্ডারের। বাংলাদেশে তেমন খেলোয়াড় নেই বললেই চলে। জিয়াউর রহমান ছিলেন এর আগে। কিন্তু অবহেলায় ঝরে গেছেন ওই খেলোয়াড়। দলে যে পাঁচজন পেসার নেয়া হয়েছে, এক ম্যাচে তাদের চারজনেরই খেলার সম্ভাবনা। কিন্তু ব্যাটিংয়ে একজনের ওপরও ভরসা করতে পারবে না টিম। পাঁচ পেসারের সবাই ব্যাটিংয়ে দুর্বল
ফলে ভরসা টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানের ওপরই। দলে স্পিন অলরাউন্ডার হিসেবে রয়েছেন তাইজুল ইসলাম। সাকিব থাকলে তাইজুলের আর প্রয়োজন পড়ত না। সাকিবের অবর্তমানে বরং ১৪-এর স্থানে ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে উৎসাহী হয়েছেন নির্বাচকেরা। মিরাজ স্পিনিং অলরাউন্ডার হলেও সেভাবে এখনো নির্ভরযোগ্য নন। তাই তো ব্যাকআপ হিসেবে তাইজুলকে স্কোয়াডে রাখা। তবে তাইজুল কোনো টেস্টে খেলতে পারবেন এমন গ্যারান্টি কম। তা কন্ডিশন অনুসারেই। তবু যদি প্রয়োজন হয়, জন্যই স্কোয়াডে রাখা। 

দিকে টেস্টে ফেরানো হলো আবার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে বাদ দেয়া হয় গত শ্রীলঙ্কা সফরে। এরপর ওয়ানডে স্কোয়াডেও তাকে না রাখার সিদ্ধান্ত প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পারিপার্শ্বিক চাপে তাতে আর অটুট থাকতে পারেনি বিসিবি। তবে টেস্ট থেকে দূরে থাকতে হয়েছে তাকে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে মিডল অর্ডারের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে আবারো শরণাপন্ন মাহমুদল্লাহর। ছাড়া ফেরানো হয়েছে পেস বোলার রুবেল হোসেন শুভাশিষ রায়কে। রুবেলকে দলে বড্ড প্রয়োজন। মাশরাফির পরে রুবেলই একমাত্র পেসার, যিনি পরিস্থিতি অনুসারে বোলিং করতে অভ্যস্ত। মুস্তাফিজও পারেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে রুবেলকে দলে রাখা পেস অ্যাটাককে আরো শক্তিশালী করে তুলবে। 

১৫ সদস্যের স্কোয়াড 
মুশফিকুর রহীম (অধিনায়ক উইকেট রক্ষক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, লিটন কুমার দাস, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শফিউল ইসলাম, রুবেল হোসেন শুভাশিষ রায় চৌধুরী
ম্যাচ ফির পাশাপাশি বেড়েছে ভ্রমণ দৈনন্দিন ভাতা
 
টানা সপ্তম বারের মতো জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) টাইটেল স্পন্সর হয়েছে ওয়ালটন গ্রুপ। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকার বাহিরের পাঁচটি ভেনুতে শুরু হবে ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই আসর। এবারের আসরের নামকরণ করা হয়েছে ওয়ালটন আইওটি স্মার্ট ফ্রিজ ১৯তম জাতীয় ক্রিকেট লিগ। দুই স্তরে আটটি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। গেল বছরের মতোই হবে টুর্নামেন্ট। টায়ার ওয়ান টায়ার টু। প্রথম টায়ারের শেষ দলটি রেলিগেটেড হয়ে দ্বিতীয় টায়ারে নেমে যাবে। আর দ্বিতীয় টায়ারের শীর্ষ দলটি প্রথম টায়ারে উন্নীত হবে। এবার পাঁচটি ভেনুতে খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন আয়োজক কর্মকর্তারা

গেল বছর খুলনা, রাজশাহী, বগুড়া, চট্টগ্রাম, সিলেট, বিকেএসপি ফতুল্লায় প্রথম দ্বিতীয় পর্যায়ের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হলেও এবার ঢাকার ভেনুগুলো না থাকায় ভেনু কমে হয়েছে পাঁচটি। ভেনুগুলো হলোÑ কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়াম। বিষয়ে বিসিবির পরিচালক ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান জানান, ‘নানা কারণে ব্যস্ত থাকায় এবার ঢাকার কোনো ভেনুতে খেলা হচ্ছে না। সে কারণে ঢাকার বাইরের ভেনুগুলোতে (সিলেট, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, খুলনা রাজশাহী) দুই টায়ারের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে।

এবারের আসরে ম্যাচ ফি বেড়েছে। বেড়েছে ভ্রমণ ভাতা দৈনন্দিন ভাতাও। জাতীয় ক্রিকেট লিগে আগে ম্যাচ ফি ছিল ২৫ হাজার টাকা। সেটা ৩৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। ভ্রমণ ভাতা আগে যেখানে হাজার টাকা করে দেয়া হতো এই আসরে সেটা হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। দৈনন্দিন ভাতাও এক হাজার থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। ম্যাচ ফি বিষয়ে আকরাম খান বলেন, ‘ বছর আগের আসরগুলোর চেয়ে ম্যাচ ফি বেড়েছে। আগের ম্যাচ ফি ২৫ হাজার টাকার জায়গায় ৩৫ হাজার টাকা, ভ্রমণ ভাতা হাজার টাকার জায়গায় আড়াই হাজার এবং ডেইলি অ্যালাউন্স এক হাজারের জায়গায় দেড় হাজার টাকা করা হয়েছে।


Comments

Popular posts from this blog

শাহরুখ খান কেন ‘ফ্লপ খান’?

কপিল শর্মা শোয়ের স্টার সুনিল গ্রভারের শোওতে!!!

স্তন ক্যান্সার ও সচেতনতা