জয়ী ভারত পাকিস্তানকে চূর্ণ করে


বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে জয় ১২৪ রানে
বার্মিংহাম, জুন: ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে পাকিস্তানকে ১২৪ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অভিযান শুরু করল ভারত। তবে একতরফা ম্যাচে মন ভরল না ক্রিকেটপ্রেমীদের। বারুদে ঠাসা উত্তেজনা ছিল দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যে। কিন্তু লড়াইটা হল একপেশে। কোহলি বাহিনীর আগ্রাসনের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করল পাক ব্রিগেড।

বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ভারত ৪৮ ওভারে ৩১৯ রান তুললেও ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে পাকিস্তানের টার্গেট দাঁড়ায় ৩২৪ রান। পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন রান তাড়া করে ম্যাচ জিততে সুবিধা হবে ভেবে। কিন্তু ভারত বিশাল স্কোর খাড়া করে ফেলায় পাকিস্তানের হাত থেকে ম্যাচ প্রায় বেরিয়ে যায়। তার উপর বার বার বৃষ্টিতে টার্গেট পরিবর্তিত হওয়ায় আরও চাপে পড়ে যান পাক ব্যাটসম্যানরা। পাকিস্তানের ইনিংসের শুরুতে ফের বৃষ্টি নামে। খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে পাকিস্তানের সামনে পরিবর্তিত লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪১ ওভারে ২৮৯ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের দাপটে পাকিস্তানের ১৬৪ রানে উইকেট পড়ে। ওয়াহাব রিয়াজ চোটের কারণে ব্যাট করতে নামেননি। ম্যাচে একানেই যবনিকা পড়ে। 

ভারতকে প্রথম সাফল্যটি এনে দেন ভুবনেশ্বর কুমার। তিনি ফেরান আহমেদ শেহজাদকে (১২) বাবর আজমকে () আউট করেন উমেশ যাদব। ওপেনার আজহার আলি করেন ৫০ রান। শোয়েব মালিক ঝোড়ো ব্যাটিং করে কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু ১৫ করে তিনি রান আউট হন। তবে ভারতের শুরুটাও খুব একটা ভালো হয়নি। প্রথম ওভারে মহম্মদ আমিরের বিষাক্ত স্যুইংয়ের সামনে দর্শকের মতো দাঁড়িয়েছিলেন রহিত শর্মা। প্রথম দশ ওভারে ভারতের রানের গতিও ছিল বেশ মন্থর। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে রহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ানরা খোলস ছেড়ে বেরিয়েছেন। ওপেনিং জুটিতে তাঁরা যোগ করেন ১৩৬ রান। ধাওয়ান ফুলটস বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ৬৮ রানে ধরা পড়েন আজহার আলির হাতে। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন রহিত। তিনি ৯১ করে রান আউট হন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৭টি চার ২টি ছক্কা। বৃষ্টিতে যখন খেলা বার বার বিঘ্ন ঘটছিল, তখন কিন্তু দ্রুত গতিতে রান তোলার তাগিদ দেখা যায়নি রহিতের মধ্যে। বরং মনে হচ্ছিল, তিনি সেঞ্চুরির নেশায় মজে রয়েছেন! 

ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলিও শুরুতে ঠিকমতো ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটাতে পারছিলেন না। ফলে রানের গতি অনেকটাই কমে গিয়েছিল। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ম্যাচের রং বদলাতে শুরু করে। রানে ক্যাচ পড়ার পর যুবরাজ সিং আর পিছন ফিরে তাকাননি। পাক বোলারদের তুলোধনা করে মাত্র ২৯ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ৪৩ রানে ক্যাচ পড়ে কোহলিরও। ক্রিকেটে প্রবাদ রয়েছে, ‘ক্যাচ মিস মানেই ম্যাচ মিস যুবি কোহলিকে যদি দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফেরাতে পারত পাকিস্তান, তাহলে চাপে পড়ে যেত ভারত।

তৃতীয় উইকেটে যুবরাজ কোহলি যোগ করেন ৯৩ রান। যুবি ৩২ বলে ৫৩ রান করেন ৮টি চার ১টি ছক্কা হাঁকিয়ে। কোহলি অপরাজিত থাকেন ৬৮ বলে ৮১ রানে। বিরাটের ইনিংসে রয়েছে ৬টি বাউন্ডারি ২টি ওভার-বাউন্ডারি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই ইনিংস কোহলির মনোবল অনেকটাই বাড়িয়ে দিল 

যুবি আউট হওয়ার পর মহেন্দ্র সিং ধোনিকে না নামিয়ে কোচ অনিল কুম্বলে ব্যাট করতে পাঠান হার্দিক পান্ডিয়াকে। কোচের আস্থার প্রতি সম্পূর্ণ মর্যাদা রেখে পান্ডিয়া মাত্র বলে ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন


Comments

Popular posts from this blog

শাহরুখ খান কেন ‘ফ্লপ খান’?

কপিল শর্মা শোয়ের স্টার সুনিল গ্রভারের শোওতে!!!